চোখের সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় যত্ন
দৃষ্টি ঠিক রাখতে চোখের যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যক। ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সুষম পুষ্টির খাবার গ্রহণও জরুরি। শিশু যে বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার গ্রহণ শুরু করে, সে বয়স থেকেই তাদের সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। শৈশব ও কৈশোরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা উচিত, কারণ এ খাবারের পুষ্টি উপাদান চোখের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার মানে এই নয় যে শুধুমাত্র দামি মাছ-মাংস খাওয়াতে হবে। উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন রঙিন শাকসবজি ও ফলমূলও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। উদাহরণস্বরূপ, ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস হিসেবে গাঢ় রঙের শাকসবজি যেমন লালশাক, পালংশাক, গাজর ও টমেটো রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। শিশু যদি সবজি খেতে না চায়, তবে নুডলস বা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
রঙিন ফলমূল যেমন পাকা আম, পেঁপে ও তরমুজও ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। প্রতিদিন একটি করে রঙিন ফল খাওয়া উচিত। ডিমের কুসুম ও দুধও শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; মা যখন দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে তখন ভিটামিন এ ফর্টিফায়েড দুধ দিতে পারেন।
ছোট মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তাই বড় মাছের পরিবর্তে ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। বাদাম ও অন্যান্য বীজেও চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে, তাই শিশুদের জন্য প্রতিদিন একটু বাদাম বা বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
চোখের সমস্যা দেখা দিলে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়; সঠিক চিকিৎসা জরুরি। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে চোখের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব, জানান গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সালমা পারভীন।