“শিশুর হাঁপানি: বিশেষ কারণসমূহ”


ঋতু পরিবর্তনে শিশুদের হাঁপানি: সচেতনতা ও চিকিৎসা

ভোরে বইতে শুরু করেছে হালকা হিমেল হাওয়া, যার ফলে দিন-রাতের পরিবেশ শুষ্ক হয়ে উঠছে। এই সময়ে বিশেষ করে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে শিশুরা। শিশুদের হাঁপানির লক্ষণগুলি বড়দের থেকে আলাদা হতে পারে, এবং তারা তাদের উপসর্গগুলি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারলে এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

হাঁপানির প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার সর্দি-কাশি, যা কাশি হতে হতে চোখ-মুখ লাল করে দেয় এবং বুকের চাপ, ব্যথা ও কষ্ট সৃষ্টি করে। রাতে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, যা খাবার গ্রহণেও সমস্যা তৈরি করে। বেশির ভাগ হাঁপানি আক্রান্ত শিশুদের কাশি ও শ্বাসকষ্ট তিন থেকে চার সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।

ফুসফুসে রয়েছে অসংখ্য সরু শ্বাসনালি, যা অ্যালার্জি ও অন্যান্য কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণে শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেনের সঠিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়, ফলে শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। শ্বাসনালিতে মিউকাস বা কফ জমে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।


করণীয়

  • বাড়িতে ধূমপান নিষিদ্ধ।
  • শিশুদের ঘরে মশার কয়েল ব্যবহার না করা।
  • ধুলোবালি ও দূষিত পরিবেশের প্রভাব কমানোর জন্য ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখা। প্রয়োজন হলে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

ওজন বেশি এবং রক্তে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম থাকা শিশুদের শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ভিটামিন ডি মূলত সূর্যালোক থেকে আসে এবং এটি মাছ, দানাশস্য এবং শুকনা ফলে পাওয়া যায়। শিশুকে রোদে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

ঠান্ডাজাতীয় খাবার ও পানীয় এবং অ্যালার্জিক খাবার সমস্যা বাড়াতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


চিকিৎসা

হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার সবচেয়ে কার্যকর। প্রয়োজন হলে নেবুলাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। হাঁপানির জন্য দুই ধরনের ওষুধ রয়েছে: নিয়ন্ত্রণকারী এবং উপশমকারী। নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ রোগলক্ষণ ও আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়, তবে তাৎক্ষণিক আরাম দেয় না। উপশমকারী ওষুধ দ্রুত আরাম দেয় এবং হাঁপানির সময়ে ব্যবহার করা হয়।

কিছু রোগীর জন্য অ্যালার্জিরোধক ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। শিশুকে ইপিআইয়ের সব টিকা এবং নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

— ডা. মো. খায়রুল আনাম, পরিচালক ও অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।