“বেসরকারি ব্যাংকে ছাঁটাইয়ের আতঙ্ক”


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ছাঁটাই আতঙ্ক


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ছাঁটাইয়ের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পরিবর্তিত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) সম্প্রতি বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের অধীনে থাকা ৫৭৯ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)ও শতাধিক কর্মকর্তাকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে, অনেকের নাম কেবল চট্টগ্রামে তাদের বসবাসের কারণে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলোও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এক প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেয় যে, ব্যাংকারদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না শুধুমাত্র লক্ষ্য অর্জন না করার অজুহাতে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা বা পদোন্নতিতে বাধা দেওয়া যাবে না।


বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা এখনও কার্যকর রয়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এক পর্ষদ সভায় ৫৭৯ জন কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের অনেককে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকটির কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জনের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চট্টগ্রামের।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসআইবিএলকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে।


ইউসিবির ক্ষেত্রে, ৪০ কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকেই শাখা ব্যবস্থাপক। তাঁদের দাবি, চট্টগ্রামে বাস করার কারণে তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

২০১৭ সালে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিনিধিদের ইউসিবি ছেড়ে যেতে বাধ্য করার পর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে রুকমিলা জামান দায়িত্ব নেন। সরকারের পরিবর্তনের পর নতুন চেয়ারম্যান হন শরীফ জহির।

ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে এবং এর ভিত্তিতে অনেক কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে চাকরিচ্যুতির হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শরীফ জহির ও এমডি মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।