“আমলাতন্ত্র রাজনীতির চাপে: শ্বেতপত্র কমিটির বৈঠকে আমলাদের বক্তব্য”


বিগত সরকারের আমলে উন্নয়নের যে বয়ান উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে উন্নয়ন প্রশাসনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তারা এমনকি আইনগত কাঠামো অতিক্রম করে গেছে। বাস্তবতা হল, প্রশাসন পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রভাবের মধ্যে ছিল।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

কিছু আমলা সাহস নিয়ে দাঁড়াতে পেরেছেন এবং তারা কিছু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন, তবে এজন্য তাদের পেশাগত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং পেশাগত উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

আজ রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের একনেক সম্মেলনকক্ষে জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির ব্রিফিংয়ে অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব মন্তব্য করেন। আজ সরকারের ৮৫ জন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, যেখানে ৩২ জন সচিব ও সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।


জ্যেষ্ঠ আমলাদের দীর্ঘ আলোচনা অভূতপূর্ব বলে উল্লেখ করেন দেবপ্রিয়। বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের বিশ্লেষণকে তিনি পরিবর্তনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রশ্নের জবাবে আমলারা বলেন, আমলাতন্ত্রের পেশাগত কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং সংগঠনের নেতারা সুবিধাবাদী রাজনীতির অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। এর ফলে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ কমে গেছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি অর্থের লুণ্ঠনে উন্নয়ন প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে আমলারা জানান, তারা রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়েছেন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে। গাফিলতির কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বেড়ে গেছে, এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা ছিল। অনেক প্রকল্প ভুলভাবে টেকসই হিসেবে দেখানো হয়েছে।


দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, উন্নয়ন প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগের কারণে দুর্নীতি ঘটেছে।

আজকের বৈঠকে কিছু বিশেষ প্রকল্প, যেমন হাইটেক পার্ক, কর্ণফুলী টানেল, জ্বালানি খাত, সামাজিক সুরক্ষা, রাজস্ব সংগ্রহ, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আমলারা মনে করছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে পেশাগতভাবে দক্ষ আমলাতন্ত্রের ভূমিকা অপরিহার্য। তাদের মতে, তুলনামূলক স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দরকার।

সক্ষমতা, সদিচ্ছা, এবং সমন্বয়ের ক্ষেত্রগুলোতে ভবিষ্যতে গুরুত্ব দিতে হবে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমলাদের মধ্যে সততা ও আন্তরিকতার লক্ষণ দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।