ট্রাম্পের সহিংস মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভে কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সহিংস মন্তব্যের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমলা হ্যারিস। দুজনেই নির্বাচনী প্রচারে ‘রাস্ট বেল্ট’ অঞ্চলের দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ব্যস্ত রয়েছেন। গত শুক্রবার তারা একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন।
৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণের চার দিন আগে, কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে জনসমাবেশ করেন। উত্তর-পূর্ব, মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণের অংশ নিয়ে গঠিত ‘রাস্ট বেল্ট’ অঞ্চলের ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ৬ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মার্কিন ভোটার ইতিমধ্যেই আগাম ভোট দিয়েছেন। জনমত জরিপ অনুযায়ী, সমর্থনের দিক থেকে দুজনই সমানভাবে এগিয়ে রয়েছেন। ফলে, জয়-পরাজয়ের বিষয়টি মূলত নির্ভর করছে উইসকনসিন, মিশিগানসহ অন্যান্য দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে কে এগিয়ে থাকে সেটির উপর।
ট্রাম্প মিশিগানের ওয়ারেন শহরে বলেন, “চার বছর ধরে আমরা যে লড়াই করছি, আগামী চার দিন পর তা শেষ হচ্ছে।” তিনি মন্তব্য করেন, সাবেক সদস্য লিজ চেনির ওপর বন্দুকের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলায় একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে হ্যারিস তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
হ্যারিস বলেন, “যিনি এ ধরনের সহিংস কথা বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য।” এছাড়া, তিনি ট্রাম্পের প্রচারণার সময়ে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়েও সতর্ক করেন।
একই সময়ে, ট্রাম্প ডিয়ারবর্নে একটি ‘হালাল রেস্তোরাঁ’য় সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি বলেন, নির্বাচনে জিতলে ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দিহান রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের রাজনৈতিক পদ্ধতিকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বারবার সতর্কতা দেন।