রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের অবস্থান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ নিয়ে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সমাধান খুঁজছে। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন একটি পত্রিকায় মন্তব্য করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো প্রমাণ নেই। এই মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে, যার ফলে সরকার চাপের সম্মুখীন হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা থাকা না-থাকার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সরকার সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, যারা মনে করছে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে।
বিএনপি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না, কারণ তারা মনে করে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পদত্যাগের দাবিতে অনড় থাকলেও বিএনপির অবস্থান হলো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হওয়া। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে চাইছে। আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল জানিয়েছেন, তারা এখনও রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে সক্রিয় আছেন এবং শিগগিরই এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।