সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ এবং বিসিএস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৫ বছর করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতাশ। তাঁরা আশা করেছিলেন, পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কিন্তু বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা তাদের দাবি প্রতিফলিত করে না।
শরিফুল হাসান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, শর্ত বাদ দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য। তিনি জানান, যদি সরকার দ্রুত এই সিদ্ধান্ত সংশোধন না করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।