গাজার উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের আশঙ্কা, সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টার মন্তব্য
ইসরায়েলের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা এরান এৎজিওন গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা সম্ভবত যুদ্ধাপরাধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও সেনাদের অবৈধ আদেশ মেনে না চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
এরান বলেন, “সেনাদের উচিত অস্বীকার করা। যদি তারা মনে করেন যে কোনও নির্দেশ যুদ্ধাপরাধ হতে পারে, তাদের সেই নির্দেশ না মানা উচিত। যদি আমি সেনা হতাম, আমি সেটাই করতাম। আমার মনে হয়, প্রতিটি ইসরায়েলি সেনার এভাবে ভাবা উচিত।”
তিনি জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের চারজন প্রধানমন্ত্রী অধীনে কাজ করেছেন এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন, যেখানে ইসরায়েলি হামলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার ফলে শরণার্থী শিবির, বিদ্যালয় এবং হাসপাতালও আক্রান্ত হচ্ছে। জাবালিয়া শহরে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে, যেখানে চিকিৎসকরা খাবার এবং পানি সংকটের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি এখানে একটি বোমা হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
একজন নার্স সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বলেন, “আমাদের কাছে আর পানি নেই। আমরা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু তারা সাহায্য করেনি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।”
এরান এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গাজার ধ্বংসযজ্ঞ বিপজ্জনক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে প্রতিশোধ ও ক্রোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি আন্তর্জাতিক আইন মানার এবং মানবিকতার মানদণ্ডের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, যে ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।