কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা কী?


মরিচ: খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি এবং পুষ্টির উৎস

মরিচ শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাহলে আসুন দেখি, মরিচের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটা জানি।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

চোখের স্বাস্থ্য

কাঁচা মরিচে বিদ্যমান ভিটামিন এ চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রাতকানা নিরাময় এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য উপকারী। এছাড়াও, মরিচে ভিটামিন সি আছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

মরিচের ক্যাপসিয়াসিন উপাদান দেহে তাপ উৎপাদন করে, যা বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

সর্দি-কাশিতে উপশম

সর্দি বা কাশির সময় নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মরিচ নাকের বন্ধ ভাব দূর করতে সাহায্য করে।


মানসিক সুস্থতা

মরিচ এন্ডোরফিন এবং সেরোটনিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মনকে উৎফুল্ল রাখে। লাল মরিচের হিমোগ্লোবিন মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।

হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য

মরিচের ভিটামিন ক হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া, মরিচের ক্যাপসিয়াসিন এবং ভিটামিন সি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

ব্যথানাশক গুণ

ক্যাপসিয়াসিনের কারণে মরিচ ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলির জন্য হাড়ের ব্যথা, মাথাব্যথা এবং বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে কার্যকর।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

মরিচের ক্যাপসিয়াসিন ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।

রক্তস্বল্পতা দূর করা

লাল মরিচ হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক। এতে থাকা ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সহায়তা করে, যা রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে পারে।


ক্যালোরি মুক্ত

কাঁচা মরিচে কোনো ক্যালোরি নেই এবং এটি পানির পরিমাণে বেশি, যা স্বাস্থ্যকে আরও উপকারে আসে।

কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্যগুণ

কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ লাল মরিচের তুলনায় বেশি, কারণ:

  • এটি বেশি জলযুক্ত
  • এতে ক্যালোরি নেই
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলির পরিমাণ বেশি
  • বিটাক্যারোটিন বেশি, যা ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়
  • আফলাটক্সিন মুক্ত

দৈনিক ব্যবহারের পরিমাণ

প্রতিদিন ১২-১৫ গ্রাম মরিচ খাওয়া যায়। এটি পেটের জ্বালাপোড়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

গ্যাস্ট্রিক-আলসার এবং মরিচ

অনেকে মনে করেন, মরিচ গ্যাস্ট্রিক-আলসার সৃষ্টি করে। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে এই ঝুঁকি থাকে না।

ডা. শিমু আক্তার
সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকস বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।