“হিজবুল্লাহর জন্য ইতিহাসের চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত”


নীরবতার অসহ্যতা


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

গত ২৮ সেপ্টেম্বরের পর লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি বোমা হামলার পরিণতির বিষয়ে এক ধরনের নীরবতা দেখা দেয়। সেই দিন সকালে ইসরায়েল নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে, কিন্তু হিজবুল্লাহ তেমন কোনো মন্তব্য করেনি। বরং তাদের প্রচার মাধ্যমগুলোও একপ্রকার বাকরুদ্ধ ছিল। অবশেষে, বেলা আড়াইটার দিকে সংগঠনটি নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।

এদিকে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি লেবাননের আকাশে চক্কর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছিল। ইসরায়েলের দাবি, তারা হিজবুল্লাহর যুদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস করছে, যাতে হিজবুল্লাহ আবার সংগঠিত হতে না পারে।


নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর পরই হিজবুল্লাহ ১২টিরও বেশি রকেট ইসরায়েল লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে, কিন্তু তাতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সংগঠনটির অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে শুরু করে এবং তাদের প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলও লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে, তবে হিজবুল্লাহ কিছু স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি করেছে।

নাসরুল্লাহর মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করছে। গত বছরের সংঘাতের ধারাবাহিকতায়, ইরানও নাসরুল্লাহ ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতা হিসেবে সম্ভাব্য উত্তরসূরির মধ্যে রয়েছেন তাঁর সহকারী নাইম কাশেম এবং নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য হাশেম সাফিউদ্দিন। সাফিউদ্দিন কাশেমের চেয়ে কম বয়সী এবং নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই।


এই পরিস্থিতিতে ইরানও আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে এবং সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইরানে হামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নির্দেশ করে।

মোটের ওপর, নাসরুল্লাহর মৃত্যু এবং এর পরিণতি হিজবুল্লাহর শক্তি এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। তবে, সংগঠনটির সামরিক সক্ষমতা এবং জনপ্রিয় সমর্থনের ভিত্তি এখনও কিছুটা বিদ্যমান। যুদ্ধের এই নতুন অধ্যায়ে হিজবুল্লাহর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।