“সাকিবের প্রথম স্বপ্ন পূরণ: পরবর্তী পদক্ষেপ কী?”


সাকিবের অবসরের ঘোষণা এবং মিরপুর টেস্ট

কানপুরে একটি ঘোষণা দিতে গিয়ে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, “যদি সুযোগ থাকে” এবং “যদি দেশে যাই”। এই ‘যদি’ নামের অনিশ্চয়তায় ভর করে তিনি বলেছিলেন, “মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ।”

আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যে দল ঘোষণা করেছে, তাতে সাকিবের ‘যদি’ শর্ত পূরণ হয়েছে। তিনি সুযোগ পেয়েছেন। এখন তার দেশে ফিরে আসা বাকি। সেটিও ঘটতে যাচ্ছে আগামীকাল।


সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন। তবে কানপুরের ঘোষণার পর থেকে অনেক কিছুই ঘটেছে, যা তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য একেবারেই নতুন।

সাকিব, যিনি একাধিকবার টেস্ট খেলা থেকে ছুটি নিয়েছেন, এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শেষ টেস্টের জন্য আকুতি জানাতে বাধ্য হয়েছেন। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর, যেখানে আওয়ামী লীগ দলের কোনো সদস্য প্রকাশ্যে নেই, সেখানে সাকিবের খেলার ওপর আপত্তি উঠেছে।

সাকিব কানপুরে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, “দেশে অনেক পরিস্থিতি আছে।” মিরপুরে খেলে তিনি নিশ্চিত হতে চান যে নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত। সাকিব জানতেন যে একজন ক্রিকেটার হিসেবে তার নিরাপত্তা আছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আশ্বাসও চেয়েছিলেন।


২৬ সেপ্টেম্বর, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, সাকিবকে রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। দেশের মাটিতে খেলতে চাইলে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।

ভারতে টেস্ট সিরিজ শেষে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ৯ অক্টোবর, সেখানে থেকে তিনি একটি দীর্ঘ বার্তা পোস্ট করেন, যেখানে ছাত্র আন্দোলনে তার নীরবতায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং রাজনীতিতে আসার ব্যাখ্যা দেন।

মিরপুরে সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার পথ এখন খোলা। বিসিবি তাকে দলে রেখেছে এবং সরকারও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—সাকিবের ‘আত্মোপলব্ধি’ বর্তমান প্রজন্ম গ্রহণ করবে কি না।

১৭ অক্টোবর সাকিবের ঢাকায় ফেরা এবং ২১ অক্টোবর মিরপুরে খেলা নিয়ে সবার দৃষ্টি থাকবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।