”ঢাকার পাইকারি বাজার তেজগাঁও আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা”

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বৃদ্ধি: বাজারে সরবরাহে সংকট


রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও আড়তে ফার্মের মুরগির ডিমের সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা গতকাল রাতে এখানে কোনো ডিম বিক্রি করেননি, কারণ ডিমের কোনো ট্রাকই আসেনি। এর আগে শনিবার রাতে কম পরিমাণে ডিম বিক্রি হয়েছে।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

তেজগাঁওয়ের ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু বিক্রির সময় সরকারের নির্ধারিত দাম অনুসরণ করতে পারছেন না। এ কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের ভয়ে তারা ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন, যার ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে।

তেজগাঁওয়ের এই পাইকারি বাজার থেকে ডিম রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে সরবরাহ হয়। ফলে এখানে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলে পুরো শহরের বাজারে এর প্রভাব পড়ে।


আজ সোমবার রাজধানীর কিছু খুচরা বাজারে দেখা গেছে, এক ডজন বাদামি ডিম ১৮০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, ডিমের সরবরাহ তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া ফার্মের মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে; প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে এক দোকানে শুধুমাত্র কয়েকটি লাল এবং সাদা ডিম পাওয়া গেছে, যেগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দোকানের বিক্রেতা ফজুলল হক বলেন, “গতকাল থেকে তেজগাঁও ডিমের আড়ত থেকে কোনো ডিম কিনতে পারিনি।”

সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে। উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা ১১ টাকা ৮৭ পয়সা হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়।


এই পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা অভিযান ও জরিমানা আতঙ্কে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ জানান, তারা খামারিদের থেকে বেশি দামে ডিম কিনছেন এবং এ কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।

তিনি জানান, তেজগাঁওয়ে দৈনিক ১৪-১৫ লাখ ডিম আসে, কিন্তু রাজধানীর চাহিদা এক কোটি। তাই ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

এদিকে, যারা তেজগাঁও থেকে নিয়মিত ডিম কিনে থাকেন, তারা জানান, ডিমের গাড়ি না আসলে তারা শহরের অন্য স্থান থেকে ডিম সংগ্রহ করছেন। তবে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।