জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এবং সেখানকার বাসিন্দাদের অন্য দেশে পাঠিয়ে উন্নয়ন কাজ চালানোর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবকে একটি ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মতে, গাজার জনগণকে অন্যত্র স্থানান্তর করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।
গত রবিবার নির্বাচনী বিতর্কে এই মন্তব্য করেন চ্যান্সেলর শলৎজ। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, মধ্যডান নেতা ফ্রেডরিক মার্জও ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, ওয়াশিংটন থেকে ‘অনেক বাগাড়ম্বর’ করা হচ্ছে এবং এই প্রস্তাবের কার্যকরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শলৎজ এবং মার্জ, দুজনেই বিতর্কে জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা ও অভিবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ট্রাম্পের শাসনের প্রথম তিন সপ্তাহে গৃহীত পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও তাদের বক্তব্য উঠে আসে।
ট্রাম্পের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাব সম্পর্কে শলৎজ আরও বলেন, “এটি একটি কেলেঙ্কারি এবং একটি ভয়ানক অভিব্যক্তি।” এই প্রস্তাবকে একটি হতাশাজনক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন মার্জও, এবং এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করেন যে, এতে সম্ভবত অনেক বাগাড়ম্বর রয়েছে।
চ্যান্সেলর শলৎজ আরও বলেন, গাজার জনগণকে স্থানান্তর করার প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তিনি মিসর এবং জর্ডানের অবস্থানকে সমর্থন জানান এবং তাদের সঙ্গে একমত হন।