সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এতে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে, ফলে যাত্রী, রোগীসহ সবাই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শহীদ পরিবারগুলো আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে শাহবাগ অবরোধ শুরু করেন, তাদের পাঁচ দফা দাবি, including হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শহীদ ও আহত ভাইদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রাপ্তি।
এই অবরোধের কারণে হাসপাতালগুলোতে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। মিরপুর-১ থেকে এক রোগীকে নিয়ে আসা মো. সোহেল রানা বলেন, শাহবাগের কাছে পৌঁছানোর সময় প্রায় এক ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে ছিলেন। পরে তিনি রোগীকে কোলে নিয়ে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা দেন, কিন্তু রাস্তায় প্রচণ্ড গরমে অসহ্য অবস্থা তৈরি হয়।
ধানমন্ডি থেকে সদ্রঘাট যাওয়ার পথে শাহবাগে আটকা পড়ে যান নাসিমা বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তারা বরিশাল থেকে এসে চিকিৎসা শেষে সদরঘাটে যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যাত্রা করলেও শাহবাগে এসে আটকা পড়ে যান। নাসিমা বেগম জানালেন, তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে আছেন, এবং তাদের ১৪ মাস বয়সী নাতনি গরমে কাঁদছে।
একইভাবে, মেঘলা পরিবহনের একটি বাসও বেলা ১১টা থেকে শাহবাগে আটকা পড়ে ছিল। বাসের চালক মো. সাইদুল জানান, ৪ ঘণ্টা ধরে তিনি এক জায়গায় বসে আছেন এবং যাত্রীরা বাস থেকে নেমে গেছে। তিনি ভাঙচুরের আতঙ্কে খাবারের জন্যও বাইরে যেতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামী রোববার শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, তবে তারা তা মানেননি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা আজই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। অবরোধ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলতে থাকে।